আমাদের সম্পর্কে

আমাদের সম্পর্কে

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) আর্বিভাবের পূর্বে সমগ্র পৃথিবী ছিল অন্ধকারে আচ্ছন্ন। অনাচার, অবিচার আর ব্যভিচারে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল গোটা জগত। আরব, পারস্য, ভারতবর্ষ তৎকালীন সভ্য জগতের সবখানেই নিভে গিয়েছিল সত্যের আলো। সে সময় আরবের অবস্থা ছিল সবচেয়ে শোচনীয়। এই অবস্থা একজন ত্রানকর্তার আর্বিভাব যেন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছিল। যিনি অমানিশার আধাঁর বিদীর্ণ করে জ্বালবেন মুক্তির আলো। তাঁরা আপন আলোয় উদ্ভাসিত করেন অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবী, মানুষকে বলে দেন মুক্তির দিশা। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এমনই একজন মানুষ যিনি মানবতার মুক্তির দিশারি, পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ।

অন্যায়ের প্রতিবাদ মুমিন ব্যক্তি কখন কিভাবে করবে তার নির্দেশনা রাসুলুল্লাহ (সা.) দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ কোনো অন্যায় দেখলে সে যেন হাত দিয়ে তা প্রতিহত করে, যদি সে তাতে সক্ষম না হয়, তবে সে যেন মুখে প্রতিবাদ করে; আর যদি সে তাতেও সক্ষম না হয়, তবে মনে মনে তা পরিবর্তনের পরিকল্পনা করে। এটাই ঈমানের দুর্বলতম স্তর। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৯)

উল্লিখিত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় অন্যায়ের প্রতিবাদ স্তর ভিত্তিক এবং হাত তথা শক্তি প্রয়োগ করে অন্যায় প্রতিহত করার বিষয়টি শর্তাধীন।

 

মানুষ সামাজিক জীব। একটি সঠিক সমাজ ব্যবস্থা একটি সমাজ তথা একটা জাতি বিনির্মানে সব চেয়ে বেশী ভূমিকা রাখে। সমাজে বিরাজমান সকল প্রকার অন্যায় অপরাধ যা দেশের আইন ও ইসলামী আইনের পরিপন্থি। এইসকল কিছুর বিরুদ্ধে ঐক্য জোট হয়ে প্রতিবাদ করা ও সমাজে বসবাসরত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির জন্য সাধ্যমত এগিয়ে আসাই প্রতিবাদী কন্ঠের মূল উদ্দেশ্য। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবাদী কন্ঠ এখন সাহায্যকারী এবং সাহায্য প্রদানকারীর মধ্যে একটি বিশ্বস্ত মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে।

এছাড়াও সমাজে তুলনামূলক অবহেলিত বিষয়গুলোতেই আমরা মূলত অপেক্ষাকৃত বেশী দৃস্টি দিয়ে থাকি। প্রধানত স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ত্রাণ বিতরণ নিয়ে কাজ করলেও সামজিক নিরাপত্তা, যুবকদের আত্মনির্ভরশীলতা ও অসহায় বঞ্চিত শিশুদের নির্মল আনন্দদান করতেও প্রতিবাদী কন্ঠ এর প্রচেষ্টা রয়েছে অব্যাহত।

আমাদের চেষ্টায় আপনিও অংশগ্রহন করুন।

 

Scroll to Top